গ্রেফতার হয়েছে ছোটপর্দার অভিনেত্রী হোমায়রা হিমুকে আত্মহত্যায় প্ররোচনাদানকারী জিয়াউদ্দিন রাফি। এই অভিযোগে গ্রেফতারকৃত রাফির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। যদিও বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবীর কাছে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, কিন্তু শুনানি শেষে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
জানা যায়, ২ নভেম্বর রাতে হিমুকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে তার মামা নাহিদ আক্তার উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় হিমুর বয়ফ্রেন্ড জিয়াউদ্দিন রাফিকে আসামি করা হয়। সেই প্রেক্ষিতেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারের পর ৪ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির করেছিল পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। যার কারণেই ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার এজাহারে প্রকাশ, জিয়াউদ্দিন রাফি হিমুর বয়ফ্রেন্ড। বিগত ছয় মাস যাবৎ প্রায়শই হিমুর বাসায় যাতায়াত করতো এবং মাঝে মধ্যে রাতযাপন করতো রাফি। কিন্তু গত ১ নভেম্বর রাফির মোবাইল নম্বর ও ভিগো আইডি ব্লক করে দেয় হিমু। এ নিয়েই দুজনের মধ্যে ঝামেলা হয়। ঘটনার দিন বিকাল ৩টার দিকে রাফি বাসায় এসে কলিংবেল দেয়। ওই বাসায় থাকা মেকআপম্যান মিহির দরজা খুলে দিলে সে ভেতরে প্রবেশ করে। মিহির তার রুমে চলে যায়। ৫টার দিকে রাফি মিহিরের রুমে গিয়ে চিৎকার করতে করতে বলে, হিমু আত্মহত্যা করেছে। তখন মিহির তাকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি তো রুমেই ছিলেন। তখন সে দাবি করে সে নাকি বাথরুমে গিয়েছিল। ঘটনা ঘটেছে সে সময়েই। মিহিরের ভাষ্যমতে, সে রাফির কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে হিমুর রুমে গিয়ে তাকে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পায়। আর দেখতে পায় রুমে থাকা দুটি কাচের গ্লাসের ভাঙা অংশ।
এরপর তারা দুজন হিমুকে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক হিমুকে মৃত ঘোষণা করে। যদিও লাশ হাসপাতালে রেখেই অভিযুক্ত রাফি হিমুর ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন কৌশলে নিয়ে পালিয়ে যায়। মামলার পর পুলিশ জিয়াউদ্দিন রাফিকে চানখারপুল থেকে গ্রেফতার করে।