আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ফেরদৌস। হলফনামায় দেখা গেছে- অনেকগুলো প্লট-ফ্ল্যাটের মালিক চিত্রনায়ক ফেরদৌস একাই। সাথে তিনি যে গাড়ি চড়েন তার দাম ২০ লাখ টাকা, অন্যদিকে তাঁর স্ত্রী চড়েন ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার গাড়িতে।
এছাড়া ফেরদৌস পুরোনো বনানী ডিওএইচএসের যে বাড়িতে থাকেন, সেই ভবনেরও পাঁচ তলার দুটি ফ্ল্যাটের মালিক তিনি। যে ফ্ল্যাট দুটির দাম ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। রাজউকের উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রজেক্টেও তাঁর আরেকটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যেটার দাম অবশ্য তিনি উল্লেখ করেননি। তার উপর মায়ের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে কোতোয়ালি থানা এলাকায় ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত একটি তিন তলা বাড়ির ২০ শতাংশ ফ্লোরের মালিকও ফেরদৌস। পূর্বাচলের ৭ নম্বর সেক্টরে পাঁচ কাঠা আয়তনের একটি প্লটেরও মালিক তিনি। এর বাইরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় তাঁর দুটি প্লট রয়েছে। একটির আয়তন ২৬ ও আরেকটির ৩৩ শতাংশ। রাজধানীর ধামালকোর্টে আছে কার পার্কিংসহ আরও দুটি ফ্ল্যাট, যা মায়ের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন বলে উল্লেখ আছে হলফনামায়। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, মিরপুরের বাউনিয়ায় সাড়ে ১৬ শতাংশের আরেকটি প্লট রয়েছে নায়ক ফেরদৌসের। সাভারের আশুলিয়ায় ৭ কাঠা আয়তনের আরও দুটি প্লট রয়েছে তাঁর। স্ত্রীর আছে ৪০ ভরি স্বর্ণ। তাঁর নিজের স্বর্ণালংকার ২০ ভরি। রোলেক্স ঘড়ি আছে একটি, যা উপহার হিসেবে পাওয়া। নূজহাত ফিল্মস নামে চলচ্চিত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ আছে প্রায় ১১ লাখ টাকা। আসবাবপত্রের দাম অজানা। ফেরদৌসের ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী রয়েছে ১৫ লাখ টাকার। এ ছাড়া দুটি ব্যাংকে আছে প্রায় ৩২ লাখ টাকা। সঞ্চয়পত্র, বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারও রয়েছে।
হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, ব্যবসা থেকে ফেরদৌসের বছরে আয় প্রায় ৪৮ লাখ টাকা। সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে আয় আড়াই লাখ টাকা। তাঁর স্ত্রীর বছরে আয় ৩৬ লাখ ২৬ হাজার টাকা। নিজের নগদ টাকা আছে ৩১ লাখ ও স্ত্রীর ৪৩ লাখ।
এত এত সম্পদের মালিক নৌকার প্রার্থী ফেরদৌস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছিলেন। অন্যদিকে সংসদ নির্বাচনে এটাই হতে চলেছে তার প্রথম লড়াই।