আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বড় ছেলে সাজেদুল হোসেন চৌধুরীর (দীপু)র ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন বাংলার সুপারস্টার শাকিব খান। বন্ধুর অকাল প্রয়াণে তাই ভীষণ শোকাহত ঢালিউড সুপারস্টার। দীর্ঘ দিনের বন্ধু দীপুর এমন আকষ্মিক প্রয়াণ কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি।
গত ২ ডিসেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান দীপু। তার মৃত্যুর সংবাদ শুনে হাসপাতালেও ছুটে যান শাকিব খান। তারপর তার ভেরিফাইড ফেসবুক একাউন্টে স্ট্যাটাস দেন এভাবে-
‘আমার বন্ধু দীপু…’ শিরোনামে শাকিবের লেখা ওই স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলো ধরা হলো-
‘কোন শব্দে তোকে নিয়ে লিখব, কোন ভাষায় তোর পরিবারকে সান্ত্বনা জানাব, ভেবে পাচ্ছি না। একদিন আমাদের সবাইকে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে, এটাই নির্মম সত্য। কিন্তু তুই এত তাড়াতাড়ি চলে যাবি, সেটা আমার চিন্তার ঊর্ধ্বে ছিল।
এই তো কিছুদিন আগে তোর অফিসে নিয়ে গেলি, তোর সন্তানের অ্যানিমেটেড সিনেমার কাজ দেখালি; আগামী দিনে কত কী করতে চাস, সেই সব স্বপ্নের কথাগুলো বললি। সেই তুই হঠাৎ করে সবাইকে চিরদিনের জন্য ছেড়ে চলে গেলি! তুই নেই, সেটা মানতে এখনো আমার কষ্ট হচ্ছে।
আমি যেখানে থাকতাম কিছুদিন পরপর ফোন করে খবর নিতি। কেমন আছি, কবে আসব, কবে দেখা হবে, কত কিছু জানতে চাইতি। সেই তোকে যখন মর্গে গিয়ে দেখছিলাম, মনে হচ্ছিল, একটু পরেই উঠে দোস্ত বলে ডাক দিবি। যেমনটা দেখা হলেই তোর বন্ধুত্ব আর ভ্রাতৃত্বের পরম ভালোবাসা আমি অনুভব করতাম।
যে বনানীর রাস্তা দিয়ে আমরা বহুবার একসঙ্গে যাতায়াত করেছি, সেখানে তোকে চিরদিনের জন্য সমাহিত করা হয়েছে। দূর থেকে শুধু তোর নিথর দেহকে দেখেছিলাম। তোর চলে যাওয়ায় আমি যে স্বজন হারানোর শূন্যতা অনুভব করছি, সেটা বলে বোঝানোর উপায় নেই। বন্ধু হিসেবে তোর ভালোবাসার শূন্যতা আমার জীবনে কখনো পূরণ হবে না। কারণ, তুই যে কত বড় মনের অধিকারী এবং ভালো মানুষ ছিলি, সেটা তোর শেষবিদায়ে মানুষের ঢলই বলে দেয়।
যত দিন বেঁচে থাকব, তোকে খুব মিস করব রে, দিপু। ওপারে অনেক ভালো থাকিস বন্ধু আমার। তোর বিদেহী আত্মার শান্তি ও দোয়া কামনা করি। মহান আল্লাহ তোকে জান্নাতবাসী করুন।’